মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মানবাধিকার রক্ষা তো দূরের কথা, বরং চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হতো। আইনেও ছিল নানা সীমাবদ্ধতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানবাধিকার রক্ষায় দেশে একটি মাইলফলক স্থাপন করে যেতে চায়।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজারের ইনানীর বেওয়াচ হোটেলে মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৩ নং আইন) রহিত করে নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রণয়নের ড্রাফট নিয়ে আয়োজিত এক পরামর্শ-কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম, খুন ও আয়না ঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরো জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ প্রণীত হলে এই সরকারের আমলেই বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে কমিশনকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধেও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গুম ও খুন প্রতিরোধে আলাদা আইন প্রণয়নের বিষয়টিও ড্রাফটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কর্মশালায় গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারীর সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ইউএনডিপি’র বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি Stefan Liller, এবং বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Reto Seigfried Renggli বক্তব্য রাখেন।