১০ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গঠন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাকে ঘিরে আলোচনার মধ্যেই ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকা সেনানিবাসের ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’–কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর পাশে অবস্থিত এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪–কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এই সিদ্ধান্ত আসে এমন সময়, যখন মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা তিনটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৮ অক্টোবর ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ওই দিনই প্রসিকিউশন এসব মামলায় ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে।

এরপর গত শনিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত এবং একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন।

সেনা কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা হলো—বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন এসব কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতেই রাখা হবে। মামলার নির্ধারিত তারিখে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে এবং আদালতের কার্যক্রম শেষে আবার সেনা হেফাজতে নেওয়া হবে।

এমন পরিস্থিতিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদিও প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি, এই নতুন কারাগারে ঠিক কাদের রাখা হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, সরকার চাইলে কোনো ভবনকে সাবজেল বা উপকারাগার ঘোষণা করে নির্দিষ্ট আসামিদের সেখানে রাখতে পারে।

২০০৭-০৮ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সংসদ ভবন এলাকায় ঘোষিত সাবজেলে রাখা হয়েছিল।