নারায়ণগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থী এক পরিবারকে মারধরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁনকে হুকুমের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় সাখাওয়াত হোসেন খাঁন ছাড়াও আরও আটজনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার রাজিয়া সুলতানা (৩৮) ও তার স্বামী মো. ইরফান মিয়া স্থানীয় ইসমাইল (৪৬) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। টাকা ফেরত না পেয়ে তারা আদালতে মামলা করেন।
ওই মামলার জেরে গত রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নতুন কোর্ট এলাকায় গেলে, প্রধান অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁনের (৫০) নির্দেশে ইসমাইলসহ আরও কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালান।
এজাহারে বলা হয়, হামলাকারীরা রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
রাজিয়া সুলতানার অভিযোগ, হামলার সময় তার জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়, এবং হামলাকারীরা তার স্বামীর কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৫২৭ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও এক ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় তাদের চিৎকার শুনে দুই সন্তান জিদান (১৭) ও আব্দুল্লাহ (৫) এগিয়ে এলে, তাদেরও মারধর করা হয়।
ঘটনার পর রাতেই রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তবে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে আপত্তি জানায়।
এরপর রাজিয়া সুলতানা হুমকি দেন যে, মামলা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি থানা প্রাঙ্গণ ছাড়বেন না।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, “এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমি আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী, তাই একটি পক্ষ আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়াতে চায়। ঘটনার সময় আমি ওই এলাকায় ছিলাম না। ভিডিওতেও আমাকে দেখা যায়নি।”

