বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ১৮ ধারায় নির্ধারিত দুই বছরের সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই বিষয়ে রুল জারি করেন।
রুলে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহ সংঘটনের দুই বছর পর কোনো অভিযোগ আদালত আমলে নিতে পারবে না— এই বিধান কেন অসাংবিধানিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রিটটি দায়ের করেছিলেন ইশরাত হাসান নিজেই।
রুলের জবাব দিতে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী, বাল্যবিবাহ সংঘটনের দুই বছর পর আদালত কোনো অভিযোগ আমলে নিতে পারে না।
কিন্তু বাস্তবে বাল্যবিবাহের শিকার শিশুরা মানসিকভাবে অপ্রস্তুত, ভীত ও নির্ভরশীল অবস্থায় থাকে— ফলে তারা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারে না।
অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, “একজন শিশুবধূ যখন বড় হয়, তখনই বুঝতে পারে তার প্রতি অন্যায় হয়েছে। কিন্তু তখন আইনের এই ধারা তার বিচার পাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। এতে অপরাধীরা নিরাপদে থাকে, আর ভুক্তভোগী বঞ্চিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধারা সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আইনের সমান সুরক্ষা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পরিপন্থি।”

