জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত ও পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (NCSA)।
সংস্থাটি বলছে, দেশের কয়েকটি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে, যার মধ্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করা, সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপের আহ্বান থাকা উদ্বেগজনক।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি জানায়, দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের এমন বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর নিয়মাবলির পরিপন্থী। অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা রাখে, যা দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত বা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় অথবা সহিংসতার আহ্বান জানায়।
এছাড়া, ধারা ২৬ (১) স্পষ্টভাবে বলছে, “ছদ্ম পরিচয়” বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে কেউ যদি ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধারা ২৬ (২) এ উল্লেখ রয়েছে, এ ধরনের অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, অথবা উভয়দণ্ড।
সংস্থাটি জানায়, তারা সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে; তবে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করাও জরুরি। তাই দণ্ডিত বা পলাতক ব্যক্তিদের যেসব বক্তব্য সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা বা অপরাধকে উৎসাহিত করে—সেগুলো প্রচার করা থেকে বিরত থাকা এবং আইনি দায় বিবেচনায় রাখার জন্য জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছে।

