শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘দেশের সব কোচিং সেন্টারই বেআইনি। কোনও ধরনের কোচিং সেন্টারই বৈধ নয়।’
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আজ বুধবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব ধরনের কোচিং সেন্টারই বেআইনি। আমরা হয়তো আইন প্রয়োগ করে নিজেরা বন্ধ করতে পারি না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বন্ধ করে। কোনো ধরনের কোচিং সেন্টারই আইনগত অ্যালাউড না।
নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ে আছে কোচিং সেন্টার, গাইড বই, নোট বই বেআইনি। কিন্তু তারপরেও দেশে অনেক অপরাধ ও বেআইনি কাজ হচ্ছে। ইচ্ছে করলেই সব বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তারপরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইলসহ কোনো ধরনের ডিভাইস সঙ্গে নিতে পারবে না। যদি কারও কাছে এ ধরনের ডিভাইস পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, এবার সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ছয় লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন এবং মেয়েদের সংখ্যা ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ জন।
তবে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমে গেছে। এবার মোট দুই হাজার ৫৪১ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৪৪টি কমেছে। এ ছাড়া বিদেশি সাতটি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৯ জন।
উল্লেখ্য, এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। পরীক্ষা শুরুর চার দিন আগে অর্থাৎ ২৯ মার্চ থেকে সব কোচিং বন্ধ থাকবে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।