‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করা এবং অনুসন্ধানের জন্য তাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে কি-না সেটা দুদকের বিষয়।’
রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিচারকদের ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ মন্তব্য করেন।
সিনহার বিরুদ্ধে যদি অনুসন্ধান বা তদন্ত চলে সেক্ষেত্রে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনাটা জরুরি কি-না বা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে কি-না সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করেছিলেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন কমিশন। দুদক কী করবে সেটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমার কিছু বলার নেই। কার কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন কার কাছ থেকে নেবেন না সেটা দুদক দেখবে। আমি জানি যে, দুদকের একটি আলাদা আইনজীবী প্যানেল আছে। তারাই সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবে তাকে ফিরিয়ে আনা ও অনুসন্ধানের বিষয়ে। আমি মনে করি সেই প্যানেলটি দুদককে সঠিকভাবে উপদেশ দিতে পারবে।
আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি আছেন সেক্ষেত্রে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ করলে তা শুনানির জন্য বিচারক নিয়োগের বিষয়ে কী চিন্তা করছেন- এমন প্রশ্নে জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার জানামতে রিভিউ শুনানিতে সাত বিচারপতি থাকতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট রুলসে এমন কোনো কথা নেই।
তিনি বলেন, এমন অনেক রিভিউ আছে যেখানে অনেকেই অবসরে গেছেন কিন্তু রিভিউ শুনানি হয়েছে। সো ফার এজ ইজ প্র্যাকটিকেবল, এ কথাটা আছে। তাছাড়া রিভিউ শুনানির জন্যই আপিল বিভাগে বিচারপতি প্রয়োজন তা না, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে এবং নিয়োগ আপিল বিভাগে দেয়া হবে। চিন্তিত হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো তারা তাদের মতো করে অনুসন্ধান-তদন্ত করবে। আবার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, দুদক চাইলে তারা আইনি সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম