আবদুল হামিদ: বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যে দরখাস্ত হাইকোর্ট বিভাগে আনয়ন করেন তাহাকে রীট বলে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে: হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আইনের দ্বারা অন্য কোনো ফলপ্রদ বিধান করা হয় নাই তাহা হইলে-
(ক) কোনো সংক্ষুব্ধু ব্যক্তির আবেদনক্রমে।
১. প্রজাতন্ত্র বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিষয়াবলীর সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোনো দায়িত্ব পালনরত ব্যক্তিকে আইনের দ্বারা অনুমোদিত নয় এমন কোনো কার্য করা হইতে বিরত রাখার জন্য কিংবা আইনের দ্বারা করণীয় কার্য করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিয়া; অথবা
২. প্রজাতন্ত্রের বা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিষয়াবলীর সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোনো দায়িত্ব পালনরত ব্যক্তির কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো কার্যধারা আইনগত কার্যকারিতা নাই বলিয়া ঘোষণা করিয়া উক্ত বিভাগ আদেশ দান করিতে পারিবেন।
অথবা
(খ) যে কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে।
১. আইনসংগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে বে-আইনী উপায়ে কোনো ব্যক্তিকে প্রহরায় আটক রাখা হয় নাই বলিয়া যাহাতে উক্ত বিভাগের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইতে পারে, সেই জন্য আটক উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত বিভাগের সম্মুখে আনয়নের নির্দেশ প্রদান করিয়া, অথবা
২. কোনো সরকারী পদে আসীন বা আসীন বলিয়া বিবেচিত কোনো ব্যক্তিকে তিনি কোনো কর্তৃত্ব বলে অনুরূপ পদমর্যাদায় অধিষ্ঠানের দাবি করিতেছেন তাহা প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিয়া উক্ত উচ্চ বিভাগ আদেশ দান করিতে পারিবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯১ ধারায় হাইকোর্ট বিভাগে হেবিয়াস কপার্স জাতীয় নির্দেশ দানের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হইয়াছে। হেবিয়ার্স কপার্স, রিট-অব মেন্ডামার্স প্রভৃতি প্রকারের রীট হইতে পারে।
লেখক: জেলা ও দায়রা জজ