চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত ও করণীয় নির্ধারণ করতে বিশেষ জরুরী মিটিং করেছেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অফিসে বিকাল চারটায় এই মিটিং শুরু হয়ে বিকাল পাচঁটা পর্যন্ত চলে।
আজকের এই মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া সিদ্ধান্ত ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে নিশ্চিত করেছেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রতন কুমার রায়। তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) পূর্নদিবস আইনজীবীরা পেশাগত কর্মবিরতি পালন করবে। নতুন আদালত ভবন চত্বর হইতে বেলা ১২টায় মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে, আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ চার কার্যদিবস সমিতির বিজ্ঞ সদস্যগন কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারন করবেন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশর কোন বিজ্ঞ আইনজীবী উক্ত হত্যার আসামী পক্ষে মামলায় নিযুক্ত না হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত, আসামীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন করার সিদ্বান্ত এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে এ বিষয়ে অবগত করা হবে, এই নারকীয় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশের প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে একটি প্রতিকী কর্মসূচী পালনেরর নির্দেশনা করতে বার কাউন্সিলকে জন্য অনুরোধ করা হবে।
বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের কপি স্বারকলিপি আকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, আইন মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, পুলিশের আইজি বরাবরে প্রদান করা হবে বলেও জানান আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
অ্যাডভোকেট বাপ্পীর মামলার তদারকি এবং প্রসিকিউসন পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য একজন সমন্বয়ক এবং পাচঁজন সদস্য নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয় উক্ত বৈঠকে। বর্তমান চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ও চট্টগ্রাম বারের সাবেক সেক্রেটারি- সভাপতি অ্যাড. এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কে প্রধান সমন্বয়ক করে গঠিত প্যানেলের অপর পাচঁজনকে সদস্য হলেন; চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড ফখরুদ্দিন চৌধূরী, সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাড খোরশেদ আলম চৌধুরী, সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাড.স্বভূ প্রসাদ বিশ্বাস, সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাড.সালাউদ্দীন হায়দার সিদ্দিকী, সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাড রতন চক্রবর্তী, এবং সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাড. এস ইউ এম নুরুল ইসলাম।
রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী, আদালত প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম