আবদুল হামিদ: দেওয়ানী কার্যবিধির ২২ ও ২৪ ধারায় মোকদ্দমা স্থানান্তর সম্পর্কে বলা হইয়াছে।
২৪ ধারার ১ উপধারার বলা হইয়াছে যে, মোকদ্দমা যে কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে সকল পক্ষকে নোটিশ দিয়া এবং তাহাদের কাহারও বক্তব্য শুনিবার ইচ্ছা থাকিলে তাহা শ্রবণ করিয়া অথবা কোনো নোটিশ না দিয়া স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া হাইকোর্ট বিভাগ অথবা জেলা আদালত যে কোনো স্তরে
(ক) তাহার সম্মুখে বিচারধীন কোনো মোকদ্দমা, আপিল বা অন্যান্য কার্যক্রম তাহার অধীনস্থ কোনো এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচার বা নিষ্পত্তির স্থানান্তর করিতে পারেন, অথবা
(খ) তাহার অধীনস্থ কোনো আদালত হইতে কোনো মামলা, আপিল বা অন্যান্য কার্যক্রম প্রত্যাহার করিতে পারেন এবং
- (১) ইহার বিচার বা নিষ্পত্তি করিতে পারেন, অথবা
- (২) ইহার বিচার বা নিষ্পত্তি করিবার যোগ্যতম কোনো আদালতে বিচার না নিষ্পত্তির জন্য স্থানান্তর করিতে পারেন, অথবা
- (৩) যে আদালত হইতে উহা প্রত্যাহার করা হইয়াছিল, পুনরায় সেই আদালতে বিচার বা নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিতে পারেন।
২৭ ডি. এল. আর (পাতা-৪৩) শামসুল হুদা বনাম মোজাম্মেল হক মামলার সিদ্ধান্ত: মোকদ্দমা সম্পর্কে বাদীর নিজের ফোরাম পছন্দের অধিকার রহিয়াছে কিন্তু উপর্যুক্ত কারণ ছাড়া শুধু বাদীর ইচ্ছামত মোকদ্দমা স্থানান্তর হইতে পারে না।
২০ ডি. এল. আর (পাতা-৮৬৭) চৌধুরী মোহাম্মদ সরোয়ার বনাম শওকত হোসেন মামলার সিদ্ধান্ত: ২৪ ধারা হাইকোর্ট বিভাগ ও জেলা জজের উপর সুবিবেচনার প্রভূত ক্ষমতা প্রদান করে। কিন্তু সুবিবেচনার ক্ষমতা অবশ্যই ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োগ করিতে হইবে।
২৪ ক ধারায় বলা হইয়াছে যে, কোনো পক্ষের দরখাস্তমূলে স্থানান্তরের আদেশ হইলে স্থানান্তরের আদেশের সময় পক্ষবৃন্দকে পরবর্তী তারিখ জানাইয়া দিতে হইবে।
লেখক: জেলা ও দায়রা জজ।
(বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত লেখকের আইনকোষ গ্রন্থ অবলম্বনে)