পাত্র-পাত্রী ভিন্ন ধর্মের হলে বিয়ের পরে স্বামীর ধর্মই স্ত্রীর ধর্ম হয়ে যাবে, এ কথা আইন বলে না। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
গুলরুখ গুপ্ত নামে মহারাষ্ট্রের এক এক পার্সি মহিলা হিন্দু ধর্মের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। পার্সি বিধান অনুযায়ী, ওই সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা অন্য ধর্মে বিয়ে করলে তিনি আর পার্সি থাকেন না। ধর্মানুষ্ঠানে থাকার অধিকারও হারিয়ে ফেলেন তিনি।
সেই নিয়ম অনুযায়ী ভালসার জোরোস্ত্রিয়ান ট্রাস্ট গুলরুখকে বাবার শেষকৃত্যে থাকার অনুমতি দিতে চায়নি। তারই প্রতিবাদ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুলরুখ। কিন্তু হাইকোর্টও ট্রাস্টের সেই নিয়মের পক্ষেই মত দেয়। এর পরই গুলরুখ সুপ্রিম কোর্টে যান।
সেই মামলার শুনানিতেই আদালত স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এর প্রসঙ্গ তুলে মন্তব্য করে, দুই ভিন্ন ধর্মের পুরুষ-নারী বিয়ের পর নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় বজায় রাখতে পারেন। বিয়ের পর স্বামীর ধর্মই স্ত্রীর ধর্ম হবে, এ কথা আইন বলে না। পাশাপাশি, বাবা-মায়ের প্রতি তাঁর সন্তানদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে এই নিয়ম শিথিল করার জন্যও পার্সি সমাজকে পরামর্শ দেয় আদালত।
(আনন্দবাজার পত্রিকা)