প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহ না করায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর এ অভিযোগ করায় পুরস্কার হিসেবে ভোক্তা পেলেন ২৫ হাজার টাকা।
সোমবার অভিযোগকারীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারের অর্থ তুলে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ।
অধিদফতর সূত্র জানায়, আসিফ আহমেদ নামের এক ক্রেতা বাটা জুতা অনলাইনে অর্ডার করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পরিশোধ করেন। বাটার অনলাইনে দেয়া বিজ্ঞাপনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্ডার করা পণ্য পৌঁছে দেয়ার কথা। কিন্তু বাটা কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে ক্রেতা পণ্য সরবরাহে বারবার তাগাদা দিলেও বাটা কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি।
পরে তিনি বাটার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি শুনানি হয়। শুনানিতে বাটার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ভোক্তার সঙ্গে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় গত ২৯ নভেম্বর বাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে অভিযোগকারী আসিফ আহমেদকে প্রদান করা হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান ওজন বা পরিমাপে কারচুপি করে, পণ্যের মোড়কে খুচরা বিক্রয়মূল্য না লেখে বা নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য দাবি করে তাহলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসারে এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। অপরদিকে জেনেশুনে কোনো পণ্যে ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশালে বা নকল পণ্য বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী তিন বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এছাড়াও মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করলে আইন অনুযায়ী এক বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। একই সঙ্গে জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা পুরস্কার হিসেবে অভিযোগকারীকে প্রদান করা হবে।