বহুল আলোচিত ‘সরকারি কর্মচারি আইন’ ২০১৭ সালেও আলোক মুখ দেখেনি। এ আইনের খসড়াটি চলতি বছরও মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।
বহু আলোচনার পর ২০১৫ বছরের ১৩ জুলাই সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইনের খসড়াটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং (পরীক্ষা-নীরিক্ষা) শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের কথা ছিল। এক বছর চার মাস পর গত বছরের ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়াটি উত্থাপন করা হয়।
কিন্তু মন্ত্রিসভা আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। সিদ্ধান্ত হয় এটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও পেশ করা হবে। কিন্তু এটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সরকারি কর্মচারী আইন প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক অসন্তোষ প্রকাশ করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে আইনটি ফের পর্যালোচনা করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, জ্যেষ্ঠতা, ছুটি, পদায়ন, প্রেষণ, লিয়েন, ক্যাডার সার্ভিস, শৃঙ্খলা ও আচরণ, অবসর, পদত্যাগ, স্বেচ্ছা অবসর ও অক্ষমতাজনিত অবসর, পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা ও কর্মমূল্যায়ন, ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও দক্ষতা উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বিত কোনো আইন নেই।
আইন প্রণয়ন না করে সরকারগুলো বিধি, নীতিমালা ও প্রয়োজন মতো নির্দেশনাপত্র জারি করে সরকারি কর্মচারীদের পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, খসড়া হয়েছে। কিন্তু ভেস্তে গেছে সে সব উদ্যোগ।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম