খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে খালেদা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দ্বাদশ দিনের মতো একই মামলায় আরেক আসামি সরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে ১১টা ২৮ মিনিটে বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হন তিনি।

আসামিদের উপস্থিতিতে বুধবার ১১টা ৩৫ মিনিটে বিচারকাজ শুরু করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি-তর্ক শেষ হলে অপেক্ষমাণ আছেন অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল।

এর আগে, খালেদা জিয়ার পক্ষে এগারো দিন অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যুক্তি উত্থাপন করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হলে অপর আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আহসানুল্লাহ। সোয়া দুই ঘণ্টা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের পর আদালত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয়। মামলায় এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংকের দেওয়া দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনে দুদক।

জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম