সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির প্রবীন সদস্য ও সাবেক সভাপতি আলহাজ এড. আব্দুর রউফ এর মৃত্যুতে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও বেলা সাড়ে ১২টায় বারের সভাপতি এড. এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে আইনজীবী সমিতির হল রুমে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রেভারেন্স অনুষ্ঠানে এড. আব্দুর রউফের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন আইনজীবীরা।
ফুলকোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী বলেন, এড. আব্দুর রউফ আইনের যোদ্ধা হিসেবে গর্ববোধ করার মত একজন ব্যক্তি ছিলেন। আমার আদালতে কর্মরত অবস্থায় আমার চোখের সামনে উনার মৃত্যু হয়েছে, উনি উনার প্রিয় জায়গায় চলে গেছেন, আমিও চাই কর্মের মধ্য দিয়েই চলে যেতে। আমি স্যালুট জানাই তার কর্মের প্রতি।
তিনি আরও বলেন, মানুষ বিচার প্রার্থী হয় বলেই আমরা বিচারক এবং আপনারা আইনজীবী, সেই আইনজীবী হিসেবে এড. আব্দুর রউফ তার উপর অর্পিত মৌলিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে গেছেন। তিনি তাঁর আত্মার এবং পরিবারের শান্তি কামনা করেন।
এছাড়া এড. আব্দুর রউফের কর্মময় জীবনের উপর আরও বক্তব্য রাখেন, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সর্ব এড. আলাউদ্দীন আহম্মেদ, এস এম হায়দার, মোঃ আবুল হোসেন, মো. গোলাম মোস্তফা, স ম সালাউদ্দীন ও নীল কমল দেবনাথ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পিপি এড. ওসমান গনি।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১২ টায় আইনজীবী সমিতির হলরুমে এড. এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় মরহুমের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন, সমিতির সাবেক সভাপতি সর্ব এড. গোলাম মোস্তফা, স ম সালাউদ্দীন, আবুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার আমজাদ হোসেন, ইউনুচ আলী, মোস্তফা আছাদুজ্জামান দিলু, তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, , সোমনাথ ব্যানার্জী, বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা, জিয়াউর রহমান, মোস্তফা হেলালুর রহমান, ফেরদৌস হোসেন, রবিউল ইসলাম, মোস্তফা জামান, শফিকুল ইসলাম খোকন, জি এম আব্দুর রহমান, ফাইমুল হক কিসলু প্রমূখ।
বক্তারা সহকর্মীর জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, এড. আব্দুর রউফ ছিলেন ন্যায় ও সত্যের প্রতিক। তিনি বার ও বেঞ্চের বিভিন্ন সংকটময় মুহুর্ত্যে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছন। তার মৃত্যুতে বার একজন দায়িত্বশীল অভিভাবককে হারিয়েছে। তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিচার প্রার্থীদের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন কর্মবীর উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, তার মৃত্যুতে আইনাঙ্গনে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। সব শেষে মরহুম আব্দুর রউফের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।