প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে নিবর্তনমূলক, সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির নেতারা।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ল’রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।
একইসঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি, আইন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মতামত-পরামর্শের ভিত্তিতে জনগণের ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার উল ইসলাম।
প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে আখতার উল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারা ব্যাখ্যা করে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের পাশে থাকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য। কারণ মন্ত্রিত্ব নেয়ার আগেই তাকে আইন পেশা থেকে অব্যাহতি দিতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রচলিত যে আইন রয়েছে সেটিই যথেষ্ট। তাছাড়া দণ্ডবিধির ১২১ ধারায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে শাস্তি কি হবে এবং কথা, বিবৃতি, উড়ো খবর বা সংবাদ প্রচার করে দেশের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করলে শাস্তি কি হবে তা দণ্ডবিধির ৫০৫ (ক) উপধারায় ধারায় বলা আছে। ফলে রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তার নামে নিবর্তনমূলক আইনের কোনো প্রয়োজন নেই। তাই প্রস্তাবিত আইনটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘যেখানে তথ্য জানার অধিকার সব নাগরিকের আছে সেখানে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নাগরিকের সে অধিকারকে খর্ব করে। ফলে এটা অসাংবিধনিকও।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আইনুন্নাহার সিদ্দিকা, হাসান আরিফ ও সদস্য আরিফুল হক রুকনসহ প্রমুখ।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন ৩২ ধারার মাধ্যমে কোনো সাংবাদিককে হয়রারি করা হবে না। যদি কেউ হয়রানির শিকার হয় এবং কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ মামলা করে সে ক্ষেত্রে মন্ত্রী আদালতে তাদের পক্ষে দাঁড়াবেন বিনা পয়সায়।