জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন আজ বৃহস্পতিবার। রায় ঘোষণার জন্য ইতিমধ্যেই পুরান ঢাকার বকশি বাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বিচারক আকতারুজ্জামান। তবে এখনো আদালতে পৌঁছাননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রায়কে ঘিরে আদালতের সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রিজন ভ্যান। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সাজা হলে বিএনপি নেত্রীকে কারাগারে নেওয়ার জন্যই আদালত চত্বরে প্রিজন ভ্যান রাখা হয়েছে।
রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশি বাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আদালত অঙ্গনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কারাগারে থাকা দুই আসামি সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এদিকে আদালত অঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতই প্রকোট যে বকশি বাজারের প্রধান সড়ক থেকে নাজিমুদ্দিন রোড পর্যন্ত সর্বসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালত অঙ্গন ও কক্ষে শুধুমাত্র তালিকাভুক্ত আইনজীবী ও মিডিয়া কর্মী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আইনজীবী ও মিডিয়া কর্মীদের প্রবশের ক্ষেত্রেও তিন স্তরে তল্লাশির পরে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
রায় ঘিরে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া না হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা এবং বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আদালতে প্রবেশে বাধা ও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য গতকাল বুধবার থেকেই রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশির পাশাপাশি মহাসড়কে কড়া নজরদারি শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নামানো হয়েছে বিজিবি। গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন।
২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এই মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় শুরু থেকে কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।