দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বইটি (‘কারাগারের রোজনামচা’) পড়লে খালেদা জিয়া বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনতে বঙ্গবন্ধুসহ রাজনৈতিক নেতারা জেলে কি ধরনের জীবন যাপন করেছেন।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, কারাগারে রাজনীতিবিদেরা যেভাবে থাকেন সে তুলনায় বিএনপির চেয়ারপারসন প্রথম দিন থেকেই কারাগারে রানীর হালে আছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে কেউ বাইরে থেকে ব্যক্তিগত পরিচারিকা পান তা আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জানা নাই। আর কেউ যদি ডিভিশনের আবেদন না করেই ডিভিশন দেওয়া হয়নি বলে প্রচার পেতে চায় তাহলে আর কিছুই বলার থাকে না। মূলত: এসব কথা বলার আড়ালে খালেদা জিয়ার দুর্নীতিকেই আড়াল কারার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি দুর্নীতিই। দুর্নীতির কোনো লঘু বা গুরু দণ্ড নাই। এ কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে মায়া কান্না করার কোনো অবকাশ নেই।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, জিয়া কারাগারকে তার গুলশানের বাসা বানাতে চাচ্ছেন, ভিআইপি মর্যাদা চাচ্ছেন, আরাম আয়েশ করে থাকতে চাচ্ছেন। অথচ তিনি করেছেন দুর্নীতি। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তি কারাগারে আয়েশি জীবন যাপন করে বলে জানা নাই। ভারতের লালু প্রসাদ যাদব ও জয় ললিতা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতির দায়ে বছরের পর বছর কারাভোগ করেছেন। সেখানেতো কোনো মায়া কান্নার উদ্ভব ঘটেনি? খালেদা জিয়ার কারাবরণের ফলে দেশের মানুষের মধ্যে এই আস্থাবোধ চলে এসেছে যে, দেশে ন্যায় বিচার আছে।