প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে সুপ্রিম কোর্টের অনিয়ম দূর করতে পারবো।’ রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে প্রয়াত রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শওকত আলী খান অ্যাসোসিয়েট এ স্মরণসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টে যত অনিয়ম আছে তা সম্মিলিতভাবে দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। একইসঙ্গে কোর্টের যত অনিয়ম আছে তা বার সভাপতির কাছ থেকে লিখিতভাবে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে আছেন বলেও জানান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শওকত আলী খান সাহেবের এ স্মরণসভা সফল হবে এবং কার্যকর হবে যদি আমরা এ কোর্টের যত অনিয়ম আছে এগুলো সম্মিলিতভাবে দূর করতে পারি।’
ব্যারিস্টার শওকত আলী খান এ কোর্টের জন্য কারাবরণ করেছেন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্মানিত সভাপতি সাহেব উনি যেদিন ফরমালি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন, আমি বললাম যে, কোর্টের কোথায় কী অনিয়ম আছে সেটা আপনি বলেন। উনি বললেন, এখনতো আপনাকে বলা যাবে আমি লিখিত দেব। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে সেই লিখিত বক্তব্য পাবো বারের তরফ থেকে’।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার শওকত ১৯৫৭ সাল থেকে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একই সঙ্গে সংবিধান প্রণেতা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি টাঙ্গাইলের নাগপুর এবং মির্জাপুরের সংসদ সদস্য ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০৬ সালের ২৯ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের নাতি ব্যারিস্টার রেহান হোসেনের সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট আসমা আক্তারের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।