জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শুরুর আগেই এজলাসে প্রবেশ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এ সময় এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন বিচারপতিরা। ‘আমরা আপনাদের ১০ মিনিট দিচ্ছি। এর মধ্যে পরিবেশ শান্ত কারুন’ বলে তারা এজলাস ত্যাগ করেন। পরে বেলা ১২টা ১ মিনিটে ফের দুই বিচারপতি এজলাসে ফিরলে খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি শুরু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। আর দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করছেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
তবে এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার থেকেই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি ও উচ্চবাচ্য হয়। এ কারণে বিচারপতিরা কয়েকবার তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু এর পরেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে আইনজীবীদের শান্ত করতে বলে এজলাস ত্যাগ করেন। পরে তারা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দুজন নেতা, খালেদা জিয়ার আইনজীবী, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত হন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ বিএনপি সমর্থিত অসংখ্য আইনজীবী।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। বাংলাট্রিবিউন