রাজশাহীতে রোগীর পেটে গজ ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করার অভিযোগে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামী আলী আজম গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নগরীর ঘোষপাড়া এলাকার মা ফাতেমা ক্লিনিকের চিকিৎসক সুলতানা নাজনীন রিতাকে আসামি করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘রোগীর স্বামীর দায়ের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুরের আজিজুল ইসলামের ছেলে আলী আজমের স্ত্রী আলাপী বেগমকে সিজিরিয়ান করার জন্য গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর নগরীর মা ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। ওই দিনই বিকালে ডা. সুলতানা নাজনীন রিতা সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করান। তবে পেটের মধ্যে তিনটি গজ ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগীর স্বামী আলী আজম বলেন, ‘সিজিরিয়ানের পর থেকেই আমার স্ত্রীর পেটে হয়। গত ২০ জানুয়ারি ব্যাথা তীব্র হলে স্ত্রীকে ফের মা ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসক নাজনীনকে দেখানো হয়। তিনি ব্যাথার ওষুধ দিয়ে বিদায় করে দেন। এরপরও তার ব্যাথা ঠিক না হলে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর লক্ষ্মীপুর মাদারল্যান্ড ক্লিনিকে চিকিৎসককে দেখাই। ওই চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। এতে তার পেটে তিনটি গজ আছে বলে ধরা পড়ে। ওই দিন রাতেই মাদারল্যান্ড ক্লিনিকে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করে গজ বের করা হয়।
এই অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক সুলতানা নাজনীন রিতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।