মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির অভিযোগে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তিন দিনের জন্য জব্দ রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান। রবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।
প্রায় ১৯ কোটি টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) থেকে সব ব্যাংকে রবির অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি একজন অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে তাদের একটি প্রতিনিধি দল রবির করপোরেট অফিস পরিদর্শন করে। সে সময় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির সবশেষ আর্থিক বিবরণী এবং সিম বিক্রির কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়।
সেই কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রবি অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত ভ্যাট, কম প্রদর্শিত সিমের ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট এবং বিটিসিএলকে প্রদত্ত সেবার ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ মোট ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৩২ টাকা নির্ধারিত সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছে।
এনবিআরের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করে রবি। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।