কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে মো. সহিদুল আলম শহীদ টানা দশমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
আগামী ৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সহিদুল আলম ছাড়া আর কোনো প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর সহিদুল আলমকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এস এম মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাধারণ সম্পাদক পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সহিদুল আলমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম তোয়াব বলেন, দেশের অন্য কোনো জেলা আইনজীবী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা দশমবার নির্বাচিত হওয়ার এ রকম নজির আর নেই।
আগামী ৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক ছাড়া মোট ১৩টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্য পদগুলো হচ্ছে সভাপতি, দুটি করে সহসভাপতি ও সহসাধারণ সম্পাদক, অডিটর, লাইব্রেরি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং পাঁচটি কার্যকরী সদস্য। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৯১ জন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ সব পদে প্রার্থী দিলেও বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি ও একটি সহসভাপতিসহ নয়টি পদে প্রার্থী দিয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত বর্তমান সভাপতি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জালাল মোহাম্মদ গাউস এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ থেকে সর্বশেষ নির্বাচনে ১৮ ভোটে পরাজিত হওয়া এম এ রশীদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত বছরের ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির গত নির্বাচনে সভাপতিসহ ছয়টি পদে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সাতটি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. সহিদুল আলম জয়লাভ করেন।