শ্রমের বিনিময়ে উপার্জন। কিন্তু, কারো-কারো জীবনের নিত্যশ্রম থেকে যায় মূল্যহীন। যেমন সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা নিয়মিত ঘাম ঝরানো কাজ করলেও, সাজা কমানো ছাড়া আর কোনো প্রাপ্তি নেই তাদের। এবার ভাঙছে এই অচলায়তন। পণ্য বিক্রির লাভের অংশ সশ্রম সাজাপ্রাপ্তদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারা কর্তৃপক্ষ।
টগবগে অনেক যুবকের মধ্যাহ্ন ছাড়িয়ে যাবার এমন গল্প ঘুরে ফিরে কারাগারের চার দেয়ালে।
৩০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড মাথায় নিয়ে ১৭ বছরের বন্দি জীবনে নিজেকে দক্ষ প্রেসকর্মী হিসেবে গড়তে পেরেছেন ঢাকার মিজান। দীর্ঘ বন্দি জীবনে তারমতো অনেক কয়েদির নিত্যদিনের ব্যস্ততা এখন কারাগারের এই ছাপাখানায়। যেখান থেকে দেশের ৬৮টি কারাগারের দাপ্তরিক সব কাগজপত্র ছাপা হয়।
শুধু ছাপাখানা নয় আরো ১২ ধরণের কাজ হয় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে। নিয়মিত প্রায় আড়াইশর মতো কয়েদি কাজ করেন বন্দি জীবনের এই কর্মক্ষেত্রে, যাতে অপরাধের গ্লানি শেষে.. মুক্ত জীবনে ঘুরে দাড়াতে পারেন নতুন করে।
যদিও এ পণ্য বিক্রির মুনাফার কিছুই পায়না তারা। জেল কোড অনুযায়ী, সশ্রম দন্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের পরিশ্রমের ফল..সাজা ৪ ভাগের একভাগ কমানো।
আইজি প্রিজন্স জানালেন, শিগগিরই সশ্রম বন্দিদের দেয়া হবে মুনাফার অংশ।
বন্দিদের বানানো এই পণ্য শতকরা ৩৭ শতাংশ লাভে বিক্রি করে কারা কৃর্তপক্ষ। লাভের অর্ধেক দেয়ার পরিকল্পনা কয়েদি এই কারিগরদের। কাশিমপুরসহ দেশের বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে এমন কার্যক্রম।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=WtfZP_fhtUo]