বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে রিমান্ডে না নিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে রিমান্ডে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চ এ রুল দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত (সিএমএম), ডিএমপি কমিশনার, গুলশান ও বংশাল থানার ওসিকে (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন মো. মাসুদ রানা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজধানীর কয়েকটি থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম)। তার বিরুদ্ধে আরও শতাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ডে না নিয়ে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুরনো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত থেকে শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রথমে শাহবাগ থানার মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানার আরেক মামলায় তাকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে রমনা থানার মামলায় আদালত ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত একাধিক মামলায় শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। তাই তাকে রিমান্ডে না নিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হলে আদালত রুল জারি করেন।