অর্থ পাচারের মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম. ওয়াহিদুল হক ও কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালকে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে জামিন দেয়ার নেপথ্যে কারা তা জানতে জামিন প্রদানকারী ম্যাজিট্রেটকে হাইকোর্টে তলবের আবেদন করেছেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এবি ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানির সময় রোববার (৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তিনি এ আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৭ মার্চ (বুধবার) পরর্বতী দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালতে হাজিরের তিন ঘণ্টার মধ্যে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালকে যে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিয়েছেন তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করুন। সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটকে ডেকে এনে ক্যামেরা ট্রায়ালে (খাস কামরায়) জিজ্ঞেস করুন। এ ধরনের জামিনের নেপথ্যে কারা জড়িত তা জানুন।’
তখন আদালত বলেন, ‘সম্প্রতি ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৩৯ জনের বিলম্বিত বিচার নিয়ে আদেশ দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে কথা উঠেছে।’ পরে এই মামলার শুনানি আগামী বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
এর আগে শুনানিতে আদালত বলেন, ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা হওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে রিমান্ডের আবেদন থাকার পরেও দু’জন আসামিকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জামিন দিয়েছেন। আরেক আসামিকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। নথি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, জামিন ও রিমান্ডে পাঠানোর আদেশের মধ্যেই বৈপরিত্য রয়েছে। কারণ রিমান্ডে পাঠানোর আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন যে, এটা স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচার্য। আবার দু’জনকে জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব? ’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারি ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে নগরীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম. ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তবে ব্যবসায়ী সাইফুল হককে জামিন না দিয়ে রিমান্ডে পাঠান একই আদালত।
পরে বিষয়টি নজরে আসায় গত ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর বৃহস্পতিবার শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেই শুনানিতে এবি ব্যাংকের দুই কর্মকতার বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।