বিএনপি নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের অর্থপাচার মামলায় পুনঃতদন্ত হবে-হাইকোর্টের এমন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মোরশেদ খানের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মোরশেদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করীম।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, এখন এ মামলায় পুনঃতদন্ত চলবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মার্চ) এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। ওইদিন খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে তারা (মোরশেদ খান) লিভ টু আপিল করেছেন।
অর্থপাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালে মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ তিনজনের নামে একটি মামলা হয়। দুদকের ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ছিলো।
এ মামলায় ২০১৫ সালে দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এরপর আদালত তাদের অব্যাহতি দিলে মোরশেদ খানসহ তিনজনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়।
আদালতের অব্যাহতি আদেশের পর ঢাকার বিশেষ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে নারাজি আবেদন করা হলে সেটি খারিজ হয়ে যায়। বিচারিক আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করে।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৫ জুন ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
১ সেপ্টেম্বর এ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বরের রায়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।