মেডিকেল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা ইউনিটে কেন্দ্রীয়ভাবে অথবা নিজস্বভাবে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
রিটে মেডিকেল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা ইউনিটে কেন্দ্রীয়ভাবে অথবা নিজস্বভাবে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না এবং মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি ২০০৮ অনুযায়ী, বর্জ্য পরিবহন ও ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কেন লাইসেন্স প্রদান করা হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
সরকারের স্বাস্থ্য সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির বলেন, হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সামনে উন্মুক্ত জায়গায় স্তূপীকৃত আকারে মেডিকেল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।চট্টগ্রামের অধিকাংশ মেডিকেল প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করছে। এতে প্রতীয়মান হয় সারা দেশের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র একই। পরিবেশ আইন ও বর্জ্য ব্যস্থাপনা বিধি ২০০৮ কোনো ক্রমেই পালন করা হচ্ছে না। ফলে হাসপাতালের বর্জ্য সাধারণ গৃহস্থালির বর্জ্যের সঙ্গে মিশে পরিবেশের ক্ষতি করছে। আমাদের জানা মতে, বড় বড় হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকের বর্জ্য পরিশোধনাগার নেই। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করেছি।