ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া সাত বছরের পাকিস্তানি শিশু জয়নাবের হত্যাকারী ইমরান আলীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। বহাল রাখা হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী আদালতের দেওয়া ফাঁসির আদেশ।
বিচারপতি সাদাকাত আলী খান ও বিচারপতি শেহরাম সারোয়ার চৌধুরীর দেওয়া মঙ্গলবারের এই আদেশের খবর জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ডন।
গত ২৩ জানুয়ারি ওই নমুনার সঙ্গে এক সন্দেহভাজনের নমুনা মিলে যাওয়ার পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন ইমরান আলী হলেন সেই অপরাধী। ৫৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কাসুরের এক কারাগারের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস-বিরোধী আদালতের বিচারক সাজ্জাদ আহমেদেইমরানের ফাঁসির দণ্ড ঘোষণা করেন। ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন ইমরানের আইনজীবীরা।
আদালতে ইমরানের আইনজীবীরা দণ্ড বাতিলের যুক্তি হিসেবে বলেন, অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে আদালতের সময় বাঁচিয়েছেন ইমরান। এজন্য দণ্ড কম পেতে পারেন তিনি। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষাও কোনও অব্যর্থ পরীক্ষা নয়, যার ওপর অন্ধভাবে নির্ভর করে দণ্ড দেওয়া যায়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, শুধু ডিএনএ পরীক্ষা নয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য ও নিজের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিচারিক আদালত দণ্ড ঘোষণা করেছেন।
উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়নাবের বাবা আমিন আনসারি। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই মামলায় বিচার হয়ে গেছে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় পাঞ্জাবের কাসুরের সাত বছরের শিশু জয়নাব আনসারি। বাবা-মা সৌদিতে ওমরাহ পালনে যাওয়ায় কয়েক দিনের জন্য খালার বাড়িতে থাকা শিশুটির মরদেহ ৯ জানুয়ারি শহরের একটি আবর্জনার স্তূপে পাওয়া যায়। জয়নাবের শরীরে পাওয়া সন্দেহভাজন অপরাধীর ডিএনএ নমুনাটি আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া সাতটি শিশুর শরীরেও পাওয়া গিয়েছিলো।