খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড অ্যালেক্স কারলাইল বলেছেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী তাকে যেভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িয়ে বর্ণনা করেছেন তা ‘অসত্য’ ও ‘মানহানিকর’।
গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত না থাকলে ‘আইনি ব্যবস্থা’ নেয়া ছাড়া তার আর কোনো বিকল্প থাকবে না’।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দীন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জামিন দিলেও সর্বোচ্চ আদালত তা স্থগিত করেছে।
এমন পরিস্থিতে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড অ্যালেক্স কারলাইলকে খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লর্ড কারলাইল আন্তর্জাতিক আইন মেনেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পরামর্শ দেবেন। এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এই ব্রিটিশ আইনজীবীর বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গত বুধবার বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতকের লবিস্ট ছিল যে, সেই আইনজীবীকে ঢাকায় আনছে খালেদা জিয়ার দল। তার মানে হলো, এখনও খালেদা জিয়া জামায়াতকে ছাড়ে নাই, একাত্তরের ঘাতকদের ছাড়ে নাই।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে লর্ড কারলাইল বলেন, ‘আমি জামায়াতের একজন আইনজীবী ও লবিস্ট হিসেবে কাজ করছি বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা অসত্য এবং মামলা হওয়ার মতো একটি বিষয়।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার আইনজীবী দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ পেশাগত জায়গা থেকে। আর হাউস অব লর্ডসে আমার সদস্য পদের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে আইনি পরামর্শ দেয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়’।
উল্লেখ্য লর্ড কারলাইল ব্রিটেনের হাউস অব লর্ডসের সদস্য, কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তিনি ব্রিটেনের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের স্বাধীন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রায় এক দশক কাজ করেছেন।