ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৪টি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ১০টি দেশ। আইনটির এসব ধারা সংশোধনের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।
আজ রোববার (২৫ মার্চ) ইইউসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত এসব দেশের রাষ্ট্রদূত ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আইনটির এসব ধারা সংশোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স। প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, কানাডা, ইউকে, স্পেন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স সাংবাদিকদের জানান, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর ধারা ২১, ধারা ২৫, ধারা ২৮ এবং ধারা ৩৫ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর এই ধারাগুলো জনগণের মুক্ত বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। এই আইনের শাস্তি, জামিন অযোগ্য ধারা এবং এই আইনের অপব্যবহার – এই তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
এরপর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনারা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলেন। সেই কারণে আজকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখন আমরা নিজেরা বসে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর ধারা নিয়ে আলোচনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স।