জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আরও বাড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (২৮ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আবেদনটি উপস্থাপনের পর আজ মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৫ মার্চ (রোববার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করা হয়। ওই সময় তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য হলফনামা (এফিডেভিট) দাখিল করেছি। মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) এটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
‘এ মামলায় প্রধান আসামিকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছর সাজা কিন্তু সহযোগীদের দেওয়া হয়েছে ১০ বছর করে। সুতরাং প্রধান আসামির সাজাটা অপর্যাপ্ত মনে করে দুদক। এ কারণে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে দুদক এ আপিল করেছে।’
এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। তবে তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের দশ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এর আগে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপি প্রধান। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
পরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ওইদিন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
এ আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ আপিলের শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।