নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে ঝরে পড়া এক কিশোরীর (১৫) বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে আকস্মিকভাবে বিয়ের আয়োজনে গিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন। কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেন তিনি। একই সঙ্গে মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ারও দায়িত্ব নিয়েছেন।
এ নিয়ে গত তিন মাসে বারহাট্টা উপজেলায় অন্তত ১১টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন ইউএনও ফরিদা। এর মধ্যে দুজনের পড়াশোনার খরচ তিনি ব্যক্তিগতভাবে দিচ্ছেন। অর্থাভাবে ওই দুই কিশোরীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে মাদ্রাসা থেকে ঝরে পড়া ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করেছিল তার পরিবার। আজ দুপুরে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর ছিলেন একই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে রাব্বীউল তপু (২৫)। এ খবর পেয়ে ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন লোকজন নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আকস্মিকভাবে মেয়েটির বাড়িতে হাজির হন। প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিবারের লোকজন সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে ইউএনও দুই পরিবারকে ডেকে বাল্যবিবাহের কুফল বিষয়ে বোঝান। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না—এমন শর্তে মুচলেকা আদায় করেন।
ফরিদা ইয়াসমিন মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়েটি উপজেলার একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। এরপর অর্থাভাবে লেখাপড়া চালাতে পারেনি পরিবার। আমি তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেব।’