শুধু অবৈধই নয়, কোচিং সেন্টারগুলো দুর্নীতিরও আখড়া বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। যেকোনো মূল্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও কোচিং বাণিজ্য চিরতরে বন্ধ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সততা সংঘের সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ মন্তব্য করেন। দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘বন্ধ হলে দুর্নীতি, উন্নয়নে আসবে গতি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২৬ মার্চ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন করছে দুদক।
অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের সব কোচিং সেন্টার অবৈধ। আমরা বলতে চাই, সব কোচিং সেন্টার শুধু অবৈধই নয়, দুর্নীতির আখড়াও।’ কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকার, ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক—সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
শিক্ষকদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক মর্যাদা, বেতন বৃদ্ধিসহ সকল প্রকার উন্নয়নে দুদক আপনাদের পাশে আছে। আপনারা শ্রেণিকক্ষে এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করুন, যাতে আমাদের সন্তানদের কোচিং সেন্টারে যেতে না হয়।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুদক চেয়ারম্যান সততা সংঘের সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান।
প্রসঙ্গত, দুদকের তত্ত্বাবধানে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে দেশের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রায় ২৫ হাজার সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা, নিষ্ঠাবোধ ও চারিত্রিক দৃঢ়তা সৃষ্টি করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করা এবং সর্বোপরি গণসচেতনতা গড়ে তোলার কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা এর উদ্দেশ্য।
সততা সংঘের সদস্যদের নিয়ে বছরব্যাপী উপজেলা, জেলা ও শহরগুলোতে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন, পদযাত্রা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা, নাটক, বিতর্ক, কার্টুন এবং রচনা প্রতিযোগিতাসহ বহুমুখী কর্মসূচি নেওয়া হয়। সমাবেশে দুদকের কমিশনার নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে অসহায়ত্বের কোনো সুযোগ নেই।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদকের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মো. সামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ।