ভেতরের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোন আদালত। তবে আইনজ্ঞদের পোশাক আর কাঠগড়া দেখে বোঝা গেল এটা নিশ্চয় কোন আদালত। দেশের নিম্ন আদালতগুলোর মতো হইহুল্লোড় বা ঢিলেঢালা ভাব দেখা মেলেনি। বিভাগের এক ছাত্র গলা ছেড়ে জানালেন কোর্ট বসছেন। বিজ্ঞ বিচারক তার আসনে বসলেন।
পেশকার একে একে মামলার শিরোনাম বলা শুরু করলেন। শুরু হল পর্যায়ক্রমে মামলার শুনানি। ঠিক পূর্ব দিকে আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল যুক্তিতর্ক-পাল্টা যুক্তি চলছে। ঠিক যেন আদালতের পরিবেশ।
এমনই আয়োজনে সোমবার সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) আইন বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতীকী আদালত। এলএলবি কোর্সের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুট কোর্ট রুমে এ কোর্ট বসে। মুট কোর্টে ২০১৭ সালের ফৌজদারি বিষয়ক একটি প্রতীকী মামলার নিষ্পত্তি হয়।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতীকী এ মামলায় বাদী, বিবাদী, সাক্ষী, আইনজীবী, পেশকারসহ অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রফিকুল আলম।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডা. লায়লা পারভীন বানু, রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী, ভৌত ও গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাসিন অনুপমা আজহারী, সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. করম নয়াজসহ বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. লায়লা পারভীন বানু বলেন, ‘এ ধরনের প্রায়োগিক শিক্ষা যে শুধু বাস্তব জ্ঞান অর্জনে সহায়ক তা নয় বরং তা শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই নিজেদের যোগ্যতা যাচাই করার সুযোগ করে দেয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে যে স্বাভাবিক দুর্বলতা ও ভীতি থাকে, তা সহজে দূর হয়ে যায়।
আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রফিকুল আলম জানান, এটা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। শিক্ষার্থীরা যেন এখান থেকে দক্ষ হয়ে বের হতে পারে সেজন্য জোর প্রচেষ্টা থাকবে।
উল্লেখ্য, পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তব অনুশীলন তথা সরাসরি জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মুট কোর্ট নামক কৃত্রিম আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের ব্যাবস্থা করা হয়।