প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের আগে গণমাধ্যম নেতাদের সঙ্গে মে মাসে বৈঠক করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ সোমবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিএফইউজে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওর্নাসের (অ্যাটকো) নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ২২ এপ্রিল আইসিটি মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মে মাসের শেষে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে তাদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তিনি বলেন, আমি সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে বলেছি, বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে ও অ্যাটকো এই আইনের ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে চায়, তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে চায় এবং সুনিদিষ্ট প্রস্তাব দিতে চায়।
‘সেক্ষেত্রে এই আইনটা যেখানে আছে (সংসদীয় কমিটি) সেখানেই এসব আলোচনা হতে পারে। আমার মনে হয় সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হলেই সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিশ্বাস করি ও সংবিধানে যে বাক-স্বাধীনতার কথা বলা আছে, যে ফ্রিডম অব প্রেসের কথা বলা আছে; সেটা আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বলেই এই আইনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে সেটা দূর করার জন্য যে যে প্রচেষ্টা করা দরকার আমরা সে সে প্রচেষ্টা করবো।’
‘সে কারণেই আমার মনে হয় সংসদীয় কমিটিতে যখন এ ব্যাপারে খোলামেলা আলাপ আলোচনা হবে, আমরা যে আইনটা করতে পারবো সেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং সেই আইনে কেউ ভীত হবে না- এটাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য এই আলোচনার মধ্যে সাধিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যৌক্তিক নিশ্চয়ই, সম্পাদক পরিষদের দাবিগুলোর সঙ্গে বিএফইউজের দাবিগুলোর অনেক মিল রয়েছে। কিছু কিছু ধারার বিষয়ে সংসদীয় কমিটির মিটিংয়ে পারস্পারিক বক্তব্য দেওয়া হলে অনেক কিছুই করার সুযোগ থাকবে। যে প্রস্তাবগুলো এগুলোর হয়তো সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন হবে।
বৈঠকে বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।