মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেবার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কোন সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই, অথচ যেখানে আফ্রিকার অনেক পিছিয়ে পড়া দেশেও রয়েছে। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। তাই তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবী।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গতকাল শনিবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরিবার সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সংহতি মহাসমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তুরিন আফরোজ বলেন, অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ও নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন করে তাদের সকল দাবি দেয়া মেনে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযোদ্ধার অশ্রু বিসর্জন মানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের হৃদয় হতে রক্ত ক্ষরণ। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে , মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নে, কোন আপোষ চলবে না।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, এই দেশ আপনাদের দেশ, আপনাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ। আমরা যে যেখানে যে পদে আসীন হয়েছি, যে সুবিধাই নিচ্ছি না কেন তা আপনাদের জন্য সম্ভব হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করলে বাঙ্গালীদের দৌড় হত বড়োজোর পাকিস্তানীদের খানসামা হওয়া পর্যন্ত। কাজেই কেউ যদি আপনাদের বিন্দুমাত্র অসম্মানের চেষ্টা করে তিনি যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন। যেমনটি আপনারা গর্জে উঠেছিলেন পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে।
মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানকারীদের হুশিয়ার করে ব্যারিস্টার তুরিন বলেন, এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ – এই ধ্রুব সত্যটি মানতে হলে আপনাদের কষ্ট হলে দয়া করে পাকিস্তান চলে যান। সেখানে আপনাদের পূর্ব পুরুষ, “ভাই – ব্যারাদার” রা আপনাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে থেকে তাদের কে অপমান করা বরদাস্ত করা হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার অপচেষ্টার কালো হাত গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, প্রমুখ।