গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের তিন মাসের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের আপিল আবেদনের নথি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে না পৌঁছানোয় এ বিষয়ে শুনানি হয়নি।
আজ সোমবার (৭ মে) দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জয়নুল আবেদীন।
এর আগে সোমবার সকালে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপি’র প্রার্থী। পরে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর খাস কামরায় দেখা করেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন। এরপর তাকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের তিন মাসের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও আপিল করবেন। সোমবার হাইকোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে তিনি সাংবাদিকদের তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবীরা।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি নিজেও চাই চলমান প্রক্রিয়ায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হোক। তাই হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আমিও আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই যেকোনও প্রক্রিয়ায় নির্বাচনটা যেন হয়। গাজীপুর সিটির উন্নয়নের স্বার্থে আমরা নির্বাচন চাই। আমরা গণতন্ত্রচর্চা করতে চাই। গাজীপুর সিটির নির্বাচনের স্বার্থে আমি সবার কাছে সহযোগিতা চাই। এজন্য আমি হাইকোর্টেও এসেছি।’
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বাবুল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। এখন দেখা যাক আপিল ফাইল করতে কতটুকু সময় প্রয়োজন হয়’
এর আগে, গতকাল রোববার (৬ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা গেজেট এবং গাজীপুর সিটি নির্বাচন সংক্রান্ত তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (সিটি করপোরেশন-২), ঢাকা জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচার জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন প্রার্থীরা।