সৎ ভাইকে হত্যার দায়ে কক্সবাজারে একজনের যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড (প্রতীকী ছবি)

দুই মা কুকুরসহ ১৪ ছানা হত্যায় আসামির ছয় মাসের কারাদণ্ড

দুইটি মা কুকুরকে পিটিয়ে অর্ধমৃত করে ও ১৪টি বাচ্চা কুকুরকে একসঙ্গে জীবন্ত মাটি চাপা দিয়ে ‘নির্মমভাবে’ হত্যার দায়ে রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির সিকিউরিটি গার্ড ছিদ্দিক (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে আসামিকে দুইশ’ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. আহসান হাবীব ১৯২০ সালের প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের ৭ ধারায় এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বাদিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিনু রানী রায় আর আসামিপক্ষে ছিলেন কাশেম আলী।

মিনু রাণী দাবি করেন, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা অভিযোগে এর আগে দু’একটি মামলা হলেও সাজা এ প্রথম।

মামলায় চার্জশিটভূক্ত ১৫ জন সাক্ষির মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, আসামি যে দিন গ্রেফতার হবেন কিংবা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবেন সেদিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

 

আসামি ছিদ্দিক ভোলার চরফ্যাশন থানার ওসমানগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিম উদ্দিন হাওলাদার বাড়ির মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০ টা থেকে ১১টার মধ্যে রামপুরা থানার বাগিচারটেক ৩৫/২ নম্বর বাড়ির পাশের খালি প্লটে থাকা দু’টি মা কুকুরসহ ১৪টি ছানাকে আসামি ছিদ্দিক লোহার রড দিয়ে পেটায়। পরে অর্ধমৃত দু’টি মা কুকুর ও তাদের ১৪ ছানাকে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয়।

ওই ঘটনায় ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর প-ফাউন্ডেশনের (পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল হক বাদি হয়ে রামপুরা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন ওই বছর ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।