বদলে গেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম; নতুন নাম হয়েছে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের নাম বদলের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম পরে সাংবাদিকদের বলেন, “নাম পরিবর্তনের এ প্রস্তাব আগেই এসেছিল। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ যুক্ত করা হয়েছে।”
এ খন থেকে বাংলায় ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়’ এবং ইংরেজিতে ‘Ministry of Environment, Forest and Climate Change’ হবে এ মন্ত্রণালয়ের নাম।
গত বছর ৬ অগাস্ট জাতীয় পরিবেশ কমিটির চতুর্থ বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ করার সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার তা মন্ত্রিসভার সায় পেল।
এখন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপণ জারি হলেই নতুন নাম কার্যকর হয়ে যাবে।
বিশ্বের যেসব দেশ জয়বায়ু পরিবর্তণের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যে হারে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের একটি বড় এলাকা পানির নিচে চলে যেতে পারে এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যূত হতে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন গবেষকরা।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দুটি তহবিল গঠন করে। এর একটি হল বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি) ফান্ড এবং অন্যটি অন্যটি বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়ান্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ)৷
অবশ্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওই তহবিলের আওতায় প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে দলীয় পক্ষপাতের অভিযোগও ইতোমধ্যে উঠেছে।