রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মদ পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সবুজে ঘেরা এই পার্কটিতে থাকবে আলাদা খেলার জায়গা, বাইসাইকেল লেন, বয়স্ক-শিশু-কিশোর ও নারীদের জন্য পৃথক জায়গা, লাইব্রেরি ও জিমনেশিয়াম।
আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) গুলশান-২ এ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মদ পার্কের আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ওসমান গণি।
পার্কটিতে আরো থাকবে পানির পাশে হেঁটে যাওয়ার জন্য আলাদা লেন। এছাড়া পানির ওপর ঝুলন্ত ওয়াকওয়ে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ, খাবারের জন্য ছোট্ট ক্যান্টিন এবং নামাজের জন্য নির্দিষ্টও স্থানও রাখা হয়েছে পার্কটিতে।
প্রায় ৯ দশমিক ৫ একর জমির উপর গড়ে উঠা এই পার্কটির আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র ওসমান গণি বলেন, নাগরিকদের সুবিধার্থে আমরা পার্ক ও খেলার মাঠের কাজ হাতে নিয়েছি। সিটি কর্পোরেশন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে একটি পার্কের পরিবেশ-পরিচ্ছন্নতা ঠিক রাখা সম্ভব নয়, তাই প্রতিটি নাগরিককে মনে করতে হবে এই সম্পদ আমার। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই পার্কের প্রতি নজর রাখতে হবে।
আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্যানেল মেয়র বলেন, পার্কের এত সুন্দর একটি কাজ এটা বাস্তবায়ন করবেন আপনারা। কোনো গাফিলতি করবেন না। যথাযথ মানের দিকে খেয়াল রেখে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করবেন অন্যথায় আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, আমাদের নগরী পাকা এক নগরীতে পরিণত হয়েছে, ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পুরো শহর।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা বদ্ধ ঘরে বেড়ে উঠছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস হাতে নিয়ে। তাদের আগামীর জন্য সবুজ পার্ক, খেলার মাঠের খুবই প্রয়োজন। এসব দিক মাথায় রেখে সুন্দর করে পার্ক-খেলার মাঠ সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পার্কের কাজ শুরু হয়েছে, কাজ চলাকালীন সময়ে নগরবাসীকে পার্কটি ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।