বেগম জিয়ার মামলার বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করে আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বিএনপি’র আইনজীবীদের গাফিলতির কারণেই বেগম জিয়ার মুক্তিতে দেরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের মতে, বেগম জিয়ার দুর্নীতি মামলায় আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে গেছেন। আবার আদালতের মাধ্যমেই সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন। বাকি মামলাগুলোর জামিনও নির্ভর করছে আদালতের ওপর। এখানে সরকার বা আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার বিচার চলমান থাকলেও এই মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি।
এদিকে আইনের শাসনে বিশ্বাস করলে বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়াতেই মুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় এই মামলায় আপিল বিভাগ থেকে জামিন পান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে এই মামলায় গেল ১২ মার্চ হাইকোর্ট বেগম জিয়াকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ মার্চ স্থগিত হয় হাইকোর্টের দেয়া জামিন।
এরপর প্রায় দুইমাস আইনি লড়াই শেষে জামিন মেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের। তবে আরো ৮টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোয় এখনই মুক্তি মিলছে না বিএনপি নেত্রীর। এ অবস্থায় বিএনপি বলছে, আইনি পথে তার মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে দুদকের আইনজীবী বলছেন ভিন্ন কথা।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘নয় বছর ধরে মামলাটি চললো। ওনারা সময় চাইলেন সময় পেলেন। সবকিছু একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলেছে। এমনি জামিনটাও আইনি প্রক্রিয়ায় পেয়েছেন। এখন যদি তারা বলে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বলার কিছু নেই।’