আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মাহিদুর রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।
মাহিদুর রহমানের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দাদনচক গ্রামের সুবেদার আলী বিশ্বাসের ছেলে ছিলেন তিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী ছিলেন।
জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক হালিমা খাতুন জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন মাহিদুর। এরপর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতে তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাহিদুর রহমান একাত্তরে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি স্থানীয় রাজাকার ক্যাম্পেই থাকতেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আশপাশের এলাকায় হত্যা, লুটপাট, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন।
মুক্তিযুদ্ধে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর স্কুলমাঠে ও এর আশপাশে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় ২০১৩ সালে মাহিদুর রহমানসহ ১২ জনকে আসামি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে একটি মামলা হয়। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের সদস্য উপজেলার পারচৌকা গ্রামের বদিউর রহমান মামলাটি করেছিলেন।
এ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালের ১৯ মে মাহিদুর রহমানকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন।