আইনজীবীদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সাধারণ নির্বাচন-২০১৮ এর ভোট গণনা ও আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল আগামী ২৬ মে (শনিবার) ঘোষণা করা হবে।
আজ সোমবার (২১ মে) বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে সংস্থার সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ উপলক্ষে উক্ত দিন সকাল ১০টায় বার কাউন্সিলের সভা কক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণ এবং বাজিতপুরসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি আদালত অঙ্গনে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। দু’টি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। তবে আনুষ্ঠানিক ফলাফল বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল ঘোষণা করবেন।
নির্বাচনে ৭টি সাধারণ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার (প্রাপ্ত ভোট ১৫৮৭৩), শ. ম. রেজাউল করিম (প্রাপ্ত ভোট ১৪৪২১), জেড. আই. খান পান্না (প্রাপ্ত ভোট ১৪২৪৮), সৈয়দ রেজাউর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১৩৮৪৫), ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন (প্রাপ্ত ভোট ১৩৮২২), মোখলেছুর রহমান বাদল (প্রাপ্ত ভোট ১৩০১৫) নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে একমাত্র নির্বাচিত প্রার্থী এ. জে. মোহাম্মদ আলী (প্রাপ্ত ভোট ১৩২৪৯)।
এছাড়া ৭টি আঞ্চলিক আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের গ্রুপ ‘এ’ (বৃহত্তর ঢাকা জেলার সকল আইনজীবী সমিতি) থেকে অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, গ্রুপ বি-তে (ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতি) মো.কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, গ্রুপ ডি-তে (কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি) এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, গ্রুপ ই-তে (খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি) পারভেজ আলম খান, গ্রুপ এফ-এর মধ্যে (রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি) মো. ইয়াহিয়া, এবং গ্রুপ জি-তে (দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতি) রেজাউল করিম মন্টু নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে গ্রুপ সি-তে (চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতি) নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তথ্য মতে, বার কাউন্সিল মূলত ১৫ সদস্যের কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার-১৯৭২’ অনুসারে প্রতি তিন বছরে একবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হয়ে বার কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্ব পান। তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
এ কারণে চেয়ারম্যানের পদ ব্যতীত বাকি ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং আঞ্চলিকভাবে গ্রুপ আসনে সাতজন আইনজীবী সদস্য নির্বাচিত হন।