সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের (এমপি) প্রচারণার সুযোগ রেখে আচরণবিধিতে সংশোধনী আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। এর আগে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইসি সূত্র বলছে, আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের পর এ বিষয়ে পরিপত্র জারি হলে এটি কার্যকর হবে। তবে আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এ সংশোধনী কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় ‘‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে এমপিদের নাম উল্লেখ ছিল, সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা অংশ নিতে পারবেন।’’
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা বিধিমালার ১১টি সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এমপিদের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কার্যকর হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এই নির্বাচনটি তফসিলভুক্ত এবং এই সংশোধনীটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিংয়ের প্রয়োজন হবে। আর ২৬ জুন গাজীপুরে ভোট। কাজেই এটি গাজীপুরে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’
বিধিমালা থেকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বাদ দেওয়া বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সংসদ সদস্যদের পদটি যেহেতু লাভজনক নয়, তারা সরকারি কোনও গাড়ি ব্যবহার করেন না এবং তাদের জন্য কোনও কর্মকর্তাও নেই, সেজন্য এমপিদের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা না করে বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।’’
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। তাদের থেকে অনেক প্রস্তাব আসে। যে বিষয়টি নির্বাচন কমিশন যুক্তিযুক্ত মনে করে, সেটি বিবেচনায় নেয়।’
এছাড়া বৈঠকে দলীয় প্রতীক হিসেবে কোনও প্রতীকের প্রতিকৃতি ব্যতীত অন্য কিছু ব্যবহার না করা, প্রতিটি ওয়ার্ডে মেয়র পদে একটি নির্বাচনি অফিস স্থাপনসহ আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণা নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে বিদায়ী রকিব কমিশনও এই ধরনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু, নির্বাচন প্রভাবিত হবে বিবেচনায় নিয়ে এমপিদের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করে তাদের প্রচারণার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রকিব কমিশন। বিদ্যমান বিধিমালা হিসেবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনি এলাকায় যাওয়া বা প্রবেশের কোনও সুযোগ নেই। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হলে তিনি ভোট দিতে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধু এমপিরাই নন, মন্ত্রীরাও ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচনি এলাকায় যাওয়ার সুযোগ পান।