আইনজীবীদের জন্য ১৫ তলা ভবন নির্মাণ করবে সরকার। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ভবনের জায়গায় বহুতল এ ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ১১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে আইন ও বিচার বিভাগ এবং গণপূর্ত অধিদফতর ২০২১ সাল নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, দেশের ৫০ হাজার আইনজীবীর একমাত্র লাইসেন্সিং ও রেগুলেটরি বডির একটি আধুনিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার স্থানের সংস্থান জরুরি। এটি সম্পন্ন হলে বার কাউন্সিলের আইনজীবী ও বিচারকগণের জন্য সহায়ক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত হবে। এ উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটির প্রস্তাব করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বার কাউন্সিল সূত্র জানায়, বর্তমানে হাইকোর্ট সংলগ্ন বার কাউন্সিল ভবনটি পাঁচ তলা। এটি পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া প্রতি বছর ৭-৮ হাজার নতুন অ্যাডভোকেট বার কাউন্সিলের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। যদিও বর্তমান কাউন্সিল ভবনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসার স্থান সংকুলান করা কঠিন। এমনকি বার কাউন্সিলে নির্বাচিত সদস্যদেরও বসার স্থান ও নথিপত্র সংকুলান করা যাচ্ছে না। ফলে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বার কাউন্সিলের বর্তমান ভবন নাজুক ও ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি আইনজীবীদের। ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। এ প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনুমোদন পেলে বর্তমান ভবনের মালামাল ও সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, নতুন ভবনে বার কাউন্সিলের জন্য নিজস্ব পরীক্ষার হল, ট্রেনিং রুম, প্রযুক্তিনির্ভর লাইব্রেরি, বড় পরিসরে খাবার ক্যান্টিন, আধুনিক সেমিনার কক্ষ, ব্যায়ামাগার (জিমনেশিয়াম), আলাদা আলাদা কক্ষ এবং নির্বাচিত সদস্যদের পৃথক দফতর, আধুনিক ক্লাব ও অত্যাধুনিক রেস্ট হাউসসহ সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
প্রকল্পের আওতায় ৮৩৬ দশমিক ১২ বর্গ মিটার প্লিন্থ এরিয়া বিশিষ্ট ১৫ তলা ভিতের উপর দুটি বেসমেন্টেসহ ভবন নির্মাণ হবে। ১৫ তলা ভবনের মোট আয়তন হবে ১৫ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৩৭ বর্গ মিটার। এর বাইরে ১৯৩ দশমিক ৬০ বর্গ মিটার সীমানা প্রাচীর, একটি এক হাজার কেবিএ সব স্টেশন, তিনটি লিফট, ৩০০ টন সিম্বল টাইপ এসি, একটি গাড়ি ও আসবাবপত্র ক্রয় করা হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিদ্যুতায়ন, বহিঃপানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, গ্যাস সংযোগ, ভূমি উন্নয়ন, কম্বাউন্ড ড্রেন, অভ্যন্তরীণ রাস্তাসহ অনুষাঙ্গিক কার্যক্রম অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। জাগোনিউজ