রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর প্রধান তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ ছয় খুনের ঘটনায় তিন আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাঙামাটির জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আহসানুজ্জামান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৮ মে) রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড ও বায়েজিদ এলাকায় গোপন অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজনই ইউপিডিএফ-এর সহযোগী সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নেতা।
তাদের মধ্যে দুইজন হলেন – গণতান্ত্রি যুবফোরামের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি কান্তময় চাকমা (৩৫) ও সাধারণ সম্পাদক সুকৃতি চাকমা (৪০)। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি।
অন্যজন হলেন ইউপিডিএফ-এর আরেক সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্রপরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিকো চাকমা (২৫)। জিকোর বাড়ি নানিয়ারচর।
গত ৩ মে শক্তিমান মোটরসাইকেলে করে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে রাঙামাটিতে একটি মাইক্রোবাসে গুলি চালিয়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর প্রধান তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচজনকে হত্যা করা হয়।
আইনজীবী শক্তিমান চাকমা ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) নামে গঠিত নতুন দলে যোগ দেন। তিনি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে ( ইউডিপিডিএফ) দায়ী করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বলেছিলেন, “তারা দীর্ঘদিন ধরে দাদাকে (শক্তিমান) হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, “এটি তাদের আন্তঃকোন্দলের ফল হতে পারে।”