ঢাকার দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি খালেদা জিয়া

মানহানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকার আদালতে চলা দুই মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মেলেনি। বরং খালেদা জিয়ার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতি বার (৩১ মে) খালেদা জিয়াকে এই দুই মামলায় জামিন না দিয়ে বিচারিক আদালতে খালেদার যে আবেদন, তা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতের প্রতি আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি আ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ হোসেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একাত্তরের খুনি বাহিনী আলবদর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মন্ত্রী বানান খালেদা জিয়া। পাকিস্তানের দোসর দুই জনের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়ে দেশের অবমাননার অভিযোগ এনে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।

মামলাটিতে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু পুলিশ সে আদেশ পালন করেনি।

গত ৮ ফেব্রুয়রি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর গত ১৭ মে এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ এসেছে আদালতের পক্ষ থেকে। একই দিন আগামী ৫ জুলাই নতুন তারিখ পড়েছে মামলাটির।

অন্যদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্ম না হলেও জাতির পিতার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করতে এই দিন জন্মদিন পালনের অভিযোগ ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট অপর মামলাটি করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।

এই মামলায় বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলাতেও গত ১৭ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়ে আগামী ৫ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে ঢাকার আরেকটি আদালত।

এ অবস্থায় গত ২২ মে এই দুই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে। সে আবেদন শুনানি শেষে আজ খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। রায়ের পরপর তাকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।