দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার ও সংরক্ষণসহ হিন্দু ধর্মীয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার, তীর্থস্থান ভ্রমণে সহায়তার লক্ষ্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলের সাথে আর্থিক ব্যয়ের বিষয় জড়িত থাকায় বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রপতির সুপারিশ পাওয়া গেছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার (২৬ জুন) সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট বোর্ড থাকবে। সরকার মনোনীত ২১ সদস্য নিয়ে এই ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হবে। ধর্মমন্ত্রী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সরকার মনোনীত একজন ট্রাস্টি ভাইস চেয়ারম্যান ও ধর্ম সচিব ট্রাস্টের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। উভয় বিলে ট্রাস্টের কার্যাবলী, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
বিলে-এর টাস্ট্রের কার্যাবলী সম্পর্কে বলা হয়, হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় এবং শ্মশান প্রতিষ্ঠা সংস্কার, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান। দেশে-বিদেশে তীর্থস্থান পরিদশনে সহায়তা প্রদান। হিন্দু ধর্মীয় উৎসব পালনে সহায়তা প্রদান। দুস্থ হিন্দুদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার ও সংরক্ষণসহ হিন্দু ধর্মীয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতির বিকাশে হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থাবলি প্রণয়ন, অনুবাদ বা প্রচারপত্র প্রকাশ, সেমিনার, সেম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন ইত্যাদি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কলাণ সাধণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষে ‘দ্য হিন্দু রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ জারি। ২০১১ সালে আদালতের নিদের্শে আইনটি রহিত হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ৭ নং আইন দ্বারা আইন কার্যকর রাখা হয়। বিদ্যমান আইনটি সংশোধিত পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০১৮ আনা হয়েছে।