সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি অবৈধ উপায়ে ৫ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার অর্থ্যাৎ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা উপার্জন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ মতিঝিল থানায় গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুন) বদিউর রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)ও(৩) ধারায় মামলা (নং-৩৪) করেন।
মামলায় বলা হয়, বদিউর রহমান ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (বাংলাদেশ) পরিচালক হিসেবে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন বদিউর রহমান সিঙ্গাপুরে ২০০৩ সালে এম এস এরিয়েল মেরিটাইম প্রাইভেট লিমিটেড নামের কোম্পানি গঠন করেন। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার। এর মধ্যে বদিউর রহমানের বিনিয়োগ করা মূলধন ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সমমূল্যের বাংলাদেশি ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা (২০০৩ সাল)। বাকি বিনিয়োগ করেন অন্য দুজন অংশীদার।
২০০৪ সাল থেকে বদিউর রহমান ওই কোম্পানির একক মালিকানা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। এ সময়ে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলারে উন্নীত হয়। অর্থাৎ এ সময়ে উক্ত পাঁচ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার সমমূল্যের বাংলাদেশি ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা বর্ণিত সিঙ্গাপুরের কোম্পানির মূলধন বাবদ বদিউর রহমান বিনিয়োগ করেন। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে তাঁর মূলধনের বৈধ উৎস বিষয়ে বদিউর রহমান গ্রহণযোগ্য কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
এজাহারে আরো বলা হয়, পাঁচ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার সমমূল্যের বাংলাদেশি ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকার প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা গোপন করে দেশে বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন করেছেন বদিউর রহমান। সিঙ্গাপুরে ওই অর্থপাচার করে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে এবং তা ভোগ করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে বদিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।